Thursday, March 13, 2025

বগুড়ায় মতবিনিময় করতে পারলেন না কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক

আরও পড়ুন

বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে মতবিনিময় করতে পারেননি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকার। এ সময় তাকে দেখে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে সরকারি আজিজুল হক কলেজে এ ঘটনা ঘটে। কলেজে মতবিনিময় করার কথা থাকলেও তোপের মুখে একপর্যায়ে তা না করেই সেনাবাহিনীর সহায়তায় চলে যান সমন্বয়ক মাহিন সরকার।

এ সময় শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপ পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিলে উত্তেজনা বাড়ে। পরে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরে সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে মাহিন সরকারসহ অন্য নেতারা সেনাবাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠক চলাকালে কলেজ চত্বরে অপর গ্রুপ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানায় এবং সমন্বয়ক মাহিন সরকারকে কলেজ চত্বর ত্যাগ করতে ১০ মিনিটের আলটিমেটাম দেন।

আরও পড়ুনঃ  যেদিন থেকে বৃষ্টি বাড়বে!

জানা গেছে, সকালে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকার বগুড়ায় আসেন। তিনি সকালে বগুড়ার শহীদদের কবর জিয়ারত করেন এবং দুপুরে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এরপর বিকেলে সরকারি আজিজুল হক কলেজের মুক্তমঞ্চে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বগুড়া। এতে মাহিন সরকার যোগ দিতে গেলে অপর আরেকটি গ্রুপ তাকে দেখে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়।

ফেসবুকের পোস্টকে ঘিরে শিক্ষকের ওপর হামলা
ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেওয়া গ্রুপের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা সমন্বয়ক হিসেবে সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহকে চিনি। অন্য কোনো সমন্বয়ককে মানি না। ওই দুই সমন্বয়ক না গেলে কোনো কর্মসূচি হবে না। এ সময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা গ্রুপ তাদের সঙ্গে বসার আহ্বান জানালে তারা প্রত্যাখ্যান করেন। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে মাহিন সরকারসহ অন্যান্যদের নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে বসেন। পরে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে মাহিন সরকার সেনাবাহিনীর সহায়তায় গাড়িতে উঠে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।

আরও পড়ুনঃ  গাছটি হতে পারে মৃত্যুর কারণ, জন্মাচ্ছে বাড়ির আশেপাশেই

এ সময় মাহিন সাংবাদিকদের বলেন, তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে স্লোগান দিয়েছেন। তাদের বক্তব্য স্পষ্ট নয়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ