Friday, March 14, 2025

মেট্রোরেলের ২ লাখ টিকেট নিয়ে গেছেন যাত্রীরা, ফেরত দেওয়ার আহ্বান

আরও পড়ুন

মেট্রোরেলে এককযাত্রার ২ লাখ টিকিট (কার্ড) সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন যাত্রীরা। এতে স্টেশনগুলোতে টিকেট সংকট দেখা দিয়েছে। এসব টিকিট ফেরত দিতে জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) উত্তরা ডিপোতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অনুরোধ জানান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আবদুর রউফ।

তিনি বলেন, “সবগুলো স্টেশন মিলিয়ে দুই লাখ ৬৮,৪৪১টি এককযাত্রার টিকেট দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে এককযাত্রার যাত্রীরা বহির্গমন গেটে বসানো নির্ধারিত মেশিনে জমা না দেননি প্রায় ২ লাখ কার্ড। নষ্ট হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ৬,৮৮১টি কার্ড। দেড় হাজার কার্ড অন্যান্যভাবে হারিয়েছে।”

আরও পড়ুনঃ  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের গায়েবানা জানাজা, মানুষের ঢল

যাত্রীদের এসব কার্ড ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডিএমটিসিএল এমডি বলেন, “এককযাত্রার টিকিট মেট্রোরেল স্টেশনের বাইরে নেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। এসব কার্ড বাইরে নিয়ে অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। তাই অনুরোধ রইলো এসব কার্ড নিকটবর্তী স্টেশনে এসে ফেরত দেবেন। এতে রাষ্ট্র আর্থিক ক্ষতি থেকে বাঁচবে।”

মঙ্গলবার থেকে চালু হচ্ছে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশনমঙ্গলবার থেকে চালু হচ্ছে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন
মেট্রোরেলের বিভিন্ন স্টেশনের কর্মীরা জানান, একটি পরিবারের কয়েকজন সদস্যের জন্য টিকেট কাটা হলেও একসঙ্গে বের হওয়ার সময় দুই-একটি টিকিট জমা দেওয়া হয়। বাকিগুলো ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃতভাবে জমা দেয় না। অনেক যাত্রী আবার ভিড়ের মধ্যে টিকেট জমা না দিয়েও বের হয়ে যেতে পারেন। এরকম ঘটনা বেশ কয়েকবার ধরা পড়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেয়া হবে’

এককযাত্রার এতগুলো টিকেট না থাকার ফলে মেশিনগুলোতেও টিকেটের কমতি পড়ে বলে জানান বিভিন্ন স্টেশনের কর্মীরা।

তারা জানান, বহির্গমন গেটে টিকেট জমা পড়ার পর সেই টিকেট নিয়ে আবার ভেন্ডিং মেশিনে প্রবেশ করাতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হয় বহির্গমন গেটে পর্যাপ্ত টিকেট জমা হওয়া পর্যন্ত। কারণ বারবার ওই গেট খুলে টিকেট বের করা কিছুটা সময়সাপেক্ষ। সবাই এই গেট খুলে টিকিট বের করতে পারে না। কর্মীরা অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকায় কখনও গেট থেকে টিকেট বের করতে দেরি হয়। এক্ষেত্রে আবার টিকেট কাটার ভেন্ডিং মেশিনে টিকেট শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

আরও পড়ুনঃ  কোটালীপাড়ায় প্রথমবার জামায়াতের শোডাউন

এদিকে, টিকেট কম থাকায় যাত্রীদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হয়। টিকেট না থাকায় কিছু কিছু ভেন্ডিং মেশিন বন্ধ থাকে। তখন এক মেশিনে চাপ পড়ে। টিকেট শেষ হলে অপেক্ষা করতে হয়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ