Thursday, March 13, 2025

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ‘সাকিব ভাই’কে গণপিটুনি

আরও পড়ুন

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা সাকিব হোসেনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে ছাত্র-জনতা। তিনি শিক্ষার্থী হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

তবে সাকিব ছিলেন ‘কিশোরগ্যাং’ প্রধান। ছোট-বড় সবাই তাকে ‘সাকিব ভাই’ বলে সম্বোধন করতে হতো।

অনেকেই তাকে রেন্ডম সাকিব নামেও ডাকতো। কারণে-অকারণে তার মারধরের শিকার হয়েছে অনেকেই।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সাকিবের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ঝলক মোহন্ত।

তিনি বলেন, গত ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুর শহরের মাদাম ব্রিজ ও তমিজ মার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও এলোপাতাড়ি গুলি করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  ঢেউয়ের কবলে বড় ভাই, বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিলো ছোট ভাই

সেখানে চার শিক্ষার্থী নিহত ও অনেকে আহত হন। সাকিব শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত পৃথক দুটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। রামগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।

রামগঞ্জ থানা পুলিশ জানিয়েছে, রামগঞ্জ বাসটার্মিনাল এলাকা থেকে দুপুরে সাকিবকে ছাত্র-জনতা গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

তিনি সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য এবং লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড আটিয়াতলি এলাকার ভূঁইয়া বাড়ির সেলিম ভূঁইয়ার ছেলে।

শহরের আটিয়াতলী এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সাকিবের নেতৃত্বে কিশোরগ্যাং ছিল। তার নেতৃত্বে শহরের ঝুমুর, সদর উপজেলার জকসিন ও জুগিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও নির্যাতন করা হয়েছিল। তার ভয়ে মানুষ মুখ খুলতে চাইতো না। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  একাধিক পুরুষের সঙ্গে ভিডিও ভাইরাল, কে এই তরুণী?

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বলেন, ‘সাকিব নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ও হত্যা মামলার আসামি। তাকে গ্রেপ্তার করে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ