ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মথুরাপুর আদর্শ এতিমখানায় ইফতারের বেঁচে যাওয়া কমলা খাওয়ায় এক মাদ্রাসা ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় ও সাগরের স্বজনদের সূত্রে জানায যায়, গত সোমবার (৩ মার্চ) এতিমখানায় এক ব্যক্তির নেয়া ইফতারের কিছু কমলালেবু থেকে গেলে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাতে তা থেকে দু টুকরো খায় সাগর। সে অপরাধে ফজরের নামাজ শেষে তাকে বেঁধে লাঠি দিয়ে বেধরক মারধর করেন মাদ্রাসার শিক্ষক ইমরান হাওলাদার। আজ বুধবার (৫ মার্চ) সকালে সাগর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক ইমরান হাওলাদারের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগী সাগর জানায়, “দুই পিস কমলা খেয়েছি। স্যার ডেকে আমাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে স্টাম্প ও মেহগনি ডাল দিয়ে মেরেছে। আমি বলেছি, স্যার ভুল হয়েছে, ক্ষমা করে দেন, তারপরেও মেরেছে।”
সাগরের এক স্বজন জানান, “ওকে রশি দিয়ে বেঁধে স্টাম্প দিয়ে মেরেছে আর মেরে মেরে সাতটা মেহেগুনের ডাল ভেঙেছে।”
অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে এতিমখানা কর্তৃপক্ষ। এতিমখানার সুপার মাওলানা জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা তাৎক্ষণিক ডিসিশন নিয়ে ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করেছি। আমি ঘটনার সময় এখানে ছিলাম না, খবর পেয়ে আমি আসার আগ দিয়ে সে পালিয়েছে।”
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।