Friday, March 14, 2025

প্রাণের পাশে সব সময় ‘রক্তযোদ্ধা’ মোঃ হাফিজুল ইসলাম

আরও পড়ুন

নাম মোঃ হাফিজুল ইসলাম। তিনি স্নাতকের সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞানেরছাত্র।মানুষের জীবন বাঁচাতে রক্ত জোগাড় করে দেওয়া তার একমাত্র লক্ষ্য। সাতক্ষীরারতরুণদেরকে নিয়ে অসহায় মানুষের সংগ্রহ করেন রক্ত।গত২০১৬ সালেরএসএসসি পড়ার সময় থেকে আজ অবধি হাজারের বেশি রোগীর জন্য রক্ত সংগ্রহ করে দিয়েছে সাতক্ষীরার বিভিন্ন শ্রেণি ও বর্নের মানুষের। জেলায় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতা সংগঠনের সাথে রয়েছে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক। সবাইকে সাথে নিয়ে শুধু নিজেই নিয়মিত রক্ত দেন না, অন্যদের রক্তদানে উৎসাহিতও করেন। প্রয়োজনের সময় নানাভাবে চেষ্টা করে রক্তের ব্যবস্থা করে দেন। এভাবে মানুষের জীবন বাঁচাতে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন এই রক্তযোদ্ধা।

আরও পড়ুনঃ  সীমান্তে উঁচু বাঁধ নির্মাণ বাংলাদেশের, উদ্বিগ্ন ভারত

মোঃ হাফিজুল ইসলাম জানালেন সেই শুরুর কথা। তার ফুপার বর মানে জামাই ছিল মুমূর্ষু অবস্থায়।বয়স তখন তাঁর ১৭ বছর।ওজন ৪৫ কেজি তখন হাফিজুলের।রক্ত খুজতে খুজতে ক্লান্ত সবাই। তখন হাফিজুল কি করবে চিন্তাই মাথা ব্যথা। অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও মিলছিল না রক্ত।তারপর সকল জল্পনা কল্পনা শেষ হলো নিজেই সিদ্ধান্ত নিল নিজেই রক্ত দেবে। ও পজিটিভ রক্তের প্রয়োজন।
এরপর থেকে দেওয়া শুরু হয় রক্তদান সেখান থেকে হয়ে উঠলো সাহসী রক্তযোদ্ধা।এরপর তিনি যুক্ত হলেন ‘রক্তদান ও সামাজিক সেবাই আমরা’ সেখান থেকে তার পথ চলা আরো সহজ হয়।

আরও পড়ুনঃ  চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির তিন কর্মী আ'টক

তিনি আরো বলেন আমি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করি। ঈদের ছুটিতে মানুষজন স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটান। অনেকে হাসপাতালে অসুস্থ স্বজনকে রেখে বাড়িতে ঈদ করতে চলে যান। আমরা এমন রোগীর পাশে দাঁড়াই। রক্তের ব্যবস্থা করে দিয়ে তাঁর সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করি। অনেক সময় গভীর রাতে অনেকে রক্তের জন্য ফোন করেন। তখন রক্তদাতা সংগ্রহ করে দিতে হয়। রক্ত পাওয়ার পর রোগীকে যখন সুস্থ হতে দেখি, তখন সব কষ্ট ভুলে যাই।’

আরও পড়ুনঃ  প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সমাধান করেন ঢাবি শিক্ষার্থী, ১৪ লাখে চুক্তি

কারোও জরুরি রক্তের প্রয়োজন হলে সকল সময় সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহজেই রক্ত পাচ্ছেন হাফিজুল ইসলামের মাধ্যমে । মানুষের জীবন বাঁচাতে মোঃ হাফিজুল ইসলামের এই উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ