ইরানের নেতাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিঠিতে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, তেহরান ওয়াশিংটনের সাথে আলোচনায় বসবে। শুক্রবার (৭ মার্চ) ফক্স বিজনেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প নিজেই এ কথা জানিয়েছেন।
ট্রাম্প জানান, তিনি ইরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে চান এবং গতকাল বৃহস্পতিবার ইরানের নেতৃত্বকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হয়, তারা এই চিঠিটি পেতে চায়।’ ‘আমি (চিঠিতে) বলেছিলাম, আমি আশা করি আপনি আলোচনায় বসবেন, কারণ এটি ইরানের জন্য অনেক ভালো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইরানকে মোকাবেলা করার দুটি উপায় আছে : সামরিকভাবে, অথবা আপনি একটি চুক্তি করুন। আমি একটি চুক্তি করতে পছন্দ করব, কারণ আমি ইরানকে আঘাত করতে চাই না। তারা মহান মানুষ। অন্য বিকল্প হলো, আমাদের কিছু একটা করতে হবে। কারণ তুমি আর একটা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দিতে পারো না।’
ট্রাম্পের এমন বক্তব্য নিয়ে মন্তব্যের অনুরোধ করা হলে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পায়নি রয়টার্স। হোয়াইট হাউসও তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো অনুরোধের জবাব দেয়নি।
প্রতিবেদনে সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, চিঠিটি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উদ্দেশ্যে লেখা বলে মনে হচ্ছে।
জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর ট্রাম্প মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন। রাশিয়ার প্রতি সমঝোতামূলক অবস্থান গ্রহণ করেছেন।
ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ২০১৮ সালে ইরানের পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন। ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখার জন্য এটি একটি বহুজাতিক চুক্তি ছিল।
একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। কারণ মস্কো তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনার শান্তিপূর্ণ সমাধানে সম্ভাব্য সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করবে। পেসকভ বলেন, রাশিয়ার অবস্থান হলো – ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক নথির সমস্যাটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে সমাধান করা উচিত। আমরা বিশ্বাস করি যে, সমাধানের সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ ইরান আমাদের মিত্র, আমাদের অংশীদার।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরান এমন একটি দেশ, যাদের সাথে আমরা ব্যাপক, পারস্পরিক উপকারী ও সম্মানজনক সম্পর্ক বিকাশ করছি এবং রাশিয়া এর জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করতে প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে অবগত।