Friday, March 14, 2025

ধ’র্ষণের অভিযোগে আটক শিক্ষককে আদালতে নেয়ার সময় গ’ণপিটুনি

আরও পড়ুন

ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের অভিযোগে আটক শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিককে আদালতে তোলার সময় গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৯ মার্চ) সকালে আটক ওই শিক্ষককে আদালতে তোলার সময় ছাত্র-জনতার মুখমুখি হয় অভিযুক্ত শিক্ষক মানিক। এ সময় তাকে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ধর্ষক মানকিকে পুনরায় কোর্টহাজতে প্রেরণ করেন।

এদিকে, ধর্ষক মানিকের ফাঁসির দাবিতে শহরের চৌরাস্তা মোড়ে প্রতিবাদ সভা করেছেন সাধারণ জনতা। প্রতিবাদ সভায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা অংশ নেয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা জর্জ কোর্ট চত্বরে এসে অবস্থান নেয়। এ সময় ধর্ষকের ফাঁসির দাবি জানিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে দেখা যায়।

আরও পড়ুনঃ  ঘুরতে গিয়ে বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ

উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে মাদারগঞ্জ কচুবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই শিক্ষার্থীর পরিবার এমন অভিযোগ করেন। পরে বিকেলে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সেই শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ান। প্রতিদিনের মতো প্রাইভেটে যায় ভুক্তভোগী এই শিক্ষার্থী। এ সময় সুযোগ বুঝে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত শিক্ষক।

আপনার মতামত লিখুনঃ
Previous article
বরিশালে বীর মুক্তিযোদ্ধার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের চেষ্টার অভিযোগ দুই যুবদল নেতার বিরুদ্ধেবরিশালের উজিরপুরে চাঁদা না পেয়ে বিএনপি‍‍র ব্যানার টাঙিয়ে এক সাংবাদিকের দোকান দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দুই যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয়ের দুই দফা ব্যানার টানিয়ে দোকানটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বলে দোকান মালিক মো. মাহফুজুর রহমান মাসুম অভিযোগ করেছেন। মাসুম ওই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুর রহমানের সন্তান এবং উজিরপুর উপজেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সস্পাদক। এ ঘটনায় মাসুম গত ২৫ ফেব্রুয়ারি উজিরপুর উপজেলা যুবদলের দুই যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. জালিস মাহমুদ মৃধা ও রুহুল কুদ্দুস হাওলাদারের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলী সুজার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। যদিও জালিস ও রুহুলের দাবি, উজিরপুর পৌর ও শিকারপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কিছু ব্যক্তি গিয়ে ওই ব্যানার টানিয়েছে। এ বিষয়ে তারা কিছু জানেন না। দোকান মালিক মাসুম বলেন, উজিরপুরের শিকারপুর বন্দরের চান্দিনা ভিটার ৪ শতাংশ জমি বাৎসরিক ইজারায় নিয়ে ১৯৫০ সাল থেকে সেখানে দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা শুরু করেন, তারা বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মাহবুবুর রহমান। ২০১৫ সালে বাবার মৃত্যুর পর তিনি ও তার দুই ভাই দোকান চালাচ্ছিলেন। এরই মধ্যে ২০১৮ সালে তাদের দোকান দখলে নিয়ে শিকারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কার্যালয় করা হয়।
Next article

সর্বশেষ সংবাদ