Friday, March 14, 2025

‘খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থ অবস্থার জন্য দায়ী দুই আইনজীবী’

আরও পড়ুন

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থতার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল ও খুরশিদ আলম খানকে দায়ী করে তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

বৃস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার আজকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থার জন্য দায়ী পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল ও দুদকের আওয়ামী লীগের দালাল প্রধান আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। এই সাবেক ছাত্রলীগের ক্যাডার ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্দেশে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে দেশনেত্রীকে বছর পর বছর কারাগারের স্যাঁতস্যাঁতে অন্ধকার প্রকোষ্টে বিনা চিকিৎসায় আবদ্ধ রেখেছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  শাপলা চত্বরে গণহত্যা মামলা: হাসিনা-ইমরানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রে'প্তারি পরোয়ানা

রিজভী বলেন, ওয়ান ইলেভেনের ধারাবাহিক এক্সটেনসন অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনার নির্দেশনা মতো খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপি নেতাদের নামে বহু কাল্পনিক মামলা আবিস্কার করে তাতে গনভবনের রায় পাঠ করে সাজা দেয়া হয়েছে। কাজল এবং খুরশিদরা বেগম খালেদা জিয়াকে ক্যাঙ্গারু আদালতে প্রকাশ্যে অপমানজনক কথা বলত, হুমকি দিত। দেশনায়ক তারেক রহমান সম্পর্কে কটূক্তি করেছে।

রিজভী অভিযোগ করে বলেন, কাজল-খুরশিদ দুর্বৃত্ত চক্র তারেক রহমানকেও মিথ্যা মামলায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফরমায়েশি সাজা দিয়েছে। এই দুর্বৃত্ত চক্র বিএনপিসহ বিরোধী দল মতের বহু মানুষের জীবন তছনছ করে দিয়েছে। দুদকের মত একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে হাসিনা কাজল-খুরশিদ গংয়ের মতো ছাত্রলীগের ক্যাডার দিয়ে সম্পূর্ণভাবে লীগের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছিলেন। মোশাররফ হোসেন কাজল ছিলেন ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত মিরপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।

আরও পড়ুনঃ  সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ, গ্রেপ্তার ২

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের যে পরিকল্পনা নিয়েছে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গেলে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। রাষ্ট্রের বিবর্তনে আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র রাজনৈতিক সংগ্রাম বা বিপ্লবেরই ফলশ্রুতি। কোনোভাবেই বি-রাজনীতি করণের আভাস যেন ফুটে না ওঠে। আমরা এখনো গভীর উদ্বেগের সাথে অবলোকন করছি, দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক ফ্যাসিবাদের আমলেরই সাজানো দুদকেরই কার্যক্রম চলছে। নির্বাচন কমিশন সেই লীগ কমিশন যারা শেখ হাসিনার অবৈধ ভোটকে ন্যায্যতা দান করেছে, ভোটারবিহীন ভোটকে অংশগ্রহণমূলক করেছে। হাসিনার প্রেতাত্মারাই বহাল তবিয়তে চেয়ারে বসে আছে। এই সব প্রতিষ্ঠান স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হলেও শেখ হাসিনা এগুলোকে কব্জায় নিয়ে গণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ