Thursday, March 13, 2025

১৩ বছর পর নিজ গ্রামে মালালা, তাও গোপনে!

আরও পড়ুন

শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই ১৩ বছর পর গোপনে নিজ গ্রামে ফিরেছেন। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সোয়াত উপত্যকার শাংলা এলাকায় তিনি সফর করেন। তবে নিরাপত্তার কারণে তার এ সফর ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

২০১২ সালের অক্টোবরে তালেবানের গুলিতে আহত হওয়ার পর মালালাকে পাকিস্তান ছাড়তে হয়েছিল। সে সময় স্কুলে যাওয়ার পথে তালেবান বন্দুকধারীরা তার স্কুলবাসে উঠে গুলি চালায়। মাথায় গুলিবিদ্ধ মালালাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়। সেখানে দীর্ঘ চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হন এবং পরবর্তীতে সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হন এবং পরবর্তীতে সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

আরও পড়ুনঃ  চাঁদপুরে ভাগ্নিকে নি'র্যাতনের ঘটনায় মামা-মামির বিরুদ্ধে মা'মলা

বর্তমানে ব্রিটিশ নাগরিক মালালা বুধবার (৫ মার্চ) নিজের গ্রামে যান। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সফরটি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়। তিনি সেখানে আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করেন এবং ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি কলেজ পরিদর্শন করেন, যেখানে মেয়েদের বিনামূল্যে শিক্ষা দেওয়া হয়।

এ সফরের বিষয়ে তিনি নিজেই পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা এক ছবিতে তাকে তুষারাবৃত পাহাড় ও নদীর সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

ছবির ক্যাপশনে মালালা লিখেছেন, ১৩ বছর পর নিজ গ্রামে ফিরে আসা আমার জন্য আনন্দের বিষয়। ছোটবেলায় প্রতি ছুটিতে আমি শাংলা নদীর পাশে খেলতাম, পরিবারের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করতাম। পাহাড়ের মাঝে থাকার অনুভূতি, ঠান্ডা নদীর পানিতে হাত ডুবানোর মুহূর্তগুলো অমূল্য। আশা করি আবারও এখানে আসতে পারব।

আরও পড়ুনঃ  বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে প্রাণ গেল ৩ ভাইয়ের

মালালার সফরের সময় তার বাবা ও স্বামী সঙ্গে ছিলেন। তিনি হেলিকপ্টারে করে গ্রামে পৌঁছান। সফরকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছিল, কিছু এলাকায় চলাচল সীমিত রাখা হয়। পাকিস্তানের এক সরকারি কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সফরটি গোপন রাখা হয়েছিল এবং স্থানীয়রাও তার আগমনের বিষয়ে জানতেন না।গত ১৩ বছরে পাকিস্তানে কয়েকবার এলেও এবারই প্রথম নিজ গ্রামে ফিরলেন মালালা। তালেবানের হামলার শিকার হওয়ার পর থেকে এতদিন তিনি তার জন্মস্থানে যেতে পারেননি। নিরাপত্তা হুমকির কারণে সফরটি ছিল গোপনীয়, কিন্তু এত বছর পর শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত গ্রামে ফিরে আসার অনুভূতি তিনি নিজের বক্তব্যে স্পষ্ট করেছেন।

আরও পড়ুনঃ  জাবিতে ফুচকার দোকানে চাঁদা দাবি, ছাত্রদল কর্মীকে অব্যাহতি

মালালার এই সফর তার জীবনযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে, যা নারী শিক্ষার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি ও সংগ্রামের প্রতিফলন ঘটায়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ