গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতীকী কফিন ‘গায়েবানা জানাজা’ পড়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (বৈছাআ) নেতাকর্মীরা।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদ ও দলটিকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ’ শিরোনামে এ কর্মসূচিতে অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল শুক্রবার রাতে গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় তারা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কের একটি লেনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতিকী কফিন সাজিয়ে ‘গায়েবানা জানাজা’ পড়েন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, আইন ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতার জন্য আওয়ামী লীগ ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে। আমরা গত ছয় মাসে বারবার বলেছি—বিচার শুরু করুন, সংস্কার করুন। এখন পর্যন্ত আমরা কোনো বিচার প্রক্রিয়া বা সংস্কার হতে দেখিনি। আমরা চাই, এই সরকার আর নীরবতা পালন করবে না। যে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে এ সরকার ক্ষমতায় বসেছে, তাদের সঙ্গে যেন বেইমানি না করে। আমরা বেইমানি হতে দিতে পারি না। আমরাই বাংলার মাটি থেকে সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছি। সারা বাংলাদেশে এ খবর ছড়িয়ে দিন। এ বাংলার মাটিতে তারা আর কোনো দিন রাজনীতি করতে পারবে না।
সংগঠনটির চট্টগ্রামের সমন্বয়ক জোবায়েরুল আলম মানিক বলেন, আমরা খুনি আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যেসব পদক্ষেপ নেওয়ার কথা, সে ধরনের কোনও পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। আমরা চিহ্নিত খুনিদের বিরুদ্ধে যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা, সেই পদক্ষেপ দ্রুত দেখতে চাই।
সমাবেশে সংগঠনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক আব্দুর রহমান, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ শাখার সমন্বয়ক তানভীর শরীফ ও সংগঠক সাদিয়া আফরিন বক্তব্য রাখেন।
ছাত্রদের এ কর্মসূচির সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম প্রেসক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন। এ সময় তার গাড়ি ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিলের কারণে রাস্তায় আটকে যায়। যদিও এর আগেই তিনি হেঁটে প্রেসক্লাবে প্রবেশ করেন।