নির্যাতন, ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। গতকাল শনিবার সারাদেশে কর্মসূচির মাধ্যমে নিপীড়কদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার দাবি তুলেছে নানা শ্রেণি-পেশার ক্ষুব্ধ মানুষ।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন, নারী ও কন্যার উন্নয়ন’। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘অদম্য নারী, শক্তিতে অজেয়’ শীর্ষক সমাবেশ করে ছাত্রদল। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। এগুলো রোধ করা না গেলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার রহস্য উন্মোচন করুন। এসব নির্যাতনের ঘটনায় পতিত ফ্যাসিস্টদের চক্রান্ত আছে কিনা, তা বের করুন। বাংলাদেশকে কোনোভাবে অস্থিতিশীল করা যাবে না।’
সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, সমবায়বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, আওয়ামী লীগ আমলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভুক্তভোগী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত নাফিসা হোসেন মারয়ার মামা হযরত আলী প্রমুখ। সমাবেশের সঙ্গে বইমেলা ও উদ্যোক্তা মেলা করে ছাত্রদল।
গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নারী হেনস্তার ঘটনায় উগ্রবাদী গোষ্ঠীর মদদ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, নারীর পোশাক নিয়ে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।