Friday, March 14, 2025

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা

আরও পড়ুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচি দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। বিকেলে শাহবাগে জড়ো হয়ে এখন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৪ আগস্ট) রাত ১১টার পর দেখা যায়, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর-এর বিপরীত পাশে নিউ মডেল কলেজের সামনে অবস্থান করছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও কয়েকজনকে মোটরসাইকেলে শোডাউন দিতেও দেখা যায়।

এসময় তারা বলেন, আওয়ামী লীগের যেকোন ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে ছাত্র সমাজসহ দেশের জনগণ। যেকোনভাবে তাদের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতে প্রস্তুত তারা।

আরও পড়ুনঃ  বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে গিয়ে প্রাণ হারালেন ছাত্রদল নেতা সাগর

এর আগে বিকেলে শাহবাগ থেকে রাপা প্লাজার সামনে এসে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এর পর প্রশাসন তাদের সরিয়ে দিলে তারা নিউ মডেল কলেজের সামনে অবস্থান নেয়।

এর আগে শাহবাগে জড়ো হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘অধিকার আদায়ে আমরা সব সময় রাজপথে থাকবো। ঢাকার সব ছাত্র ও জনতা এক হলে আমরা শহীদদের স্মরণে শাহবাগ থেকে রাপা প্লাজা অভিমুখে পদযাত্রা, মোমবাতি প্রজ্বলন ও নিহত হওয়ার ঘটনাস্থলে এক মিনিট নীরবতা পালন করে দোয়া করবো।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান করেছি, এবার সেই গণঅভ্যুত্থান রক্ষা করতে আমরা সবাই জড়ো হয়েছি। এখন থেকে রাজপথ শুধু আমাদের দখলে থাকবে।’

আরও পড়ুনঃ  জাতীয় নাগরিক পার্টি থেকে পদত্যাগ করলেন ৩ নেতা, জানা গেল কারণ

এ সময় পূর্ব ঘোষিত চার দফা দাবির কথাও জানানো হয়। সেগুলো হলো:

১. ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার‍ যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।

২. সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  ‘১৭ বছর হাসিনার চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছি, আর আপনারা কারা?’

৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা, এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারংবার কায়েমের চেষ্টা করছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নতুন সরকারে তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ