Friday, March 14, 2025

হাসিনার প্রত্যর্পণের প্রশ্নে রাজ্যসভা‍য় আলোচনা

আরও পড়ুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাকে বিচারের জন্য ফেরত পাঠানোর অনুরোধ পেলেও এখনো কোনো প্রত্যুত্তর দেয়নি ভারত। নেওয়া হয়নি এব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভারতের রাজ্যসভার অধিবেশনে আলোচনায় একথা জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কৃতি বর্ধন সিং। তিনি বলেন, ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশের প্রত্যর্পণ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

রাজ্যসভায় কেরালার সিপিএম সংসদ সদস্য জন ব্রিট্টাস এ বিষয়ে মোদি সরকারের অবস্থান জানতে চেয়ে সরকারের কাছে তিনটি প্রশ্ন করেন।

১. বাংলাদেশ কি তাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে?
২. যদি চেয়ে থাকে তবে প্রত্যর্পণের জন্য কী কী কারণ দেখিয়েছে?
৩. ভারত সরকার এ সম্পর্কে কী জবাব দিয়েছে ঢাকাকে?

আরও পড়ুনঃ  বদলে যাচ্ছে পুলিশের পোশাক ও লোগো

কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিংহ এসময় ভারত সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা বলেন, বাংলাদেশ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ দাবি করেছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে আসার আগে বাংলাদেশে যেসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তার ভিত্তিতে এই প্রত্যর্পণ দাবি করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ বিষয়ে কোনো জবাব এখনো পাঠানো হয়নি।

জানা গেছে, হাসিনাকে ফেরত চেয়ে গত ডিসেম্বরে নয়াদিল্লিকে ‘কূটনৈতিক চিঠি’ পাঠায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। একাধিক অপরাধে হাসিনা অভিযুক্ত বলে দাবি করা হয় ওই চিঠিতে। ওই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করেছিল ভারত সরকার।

আরও পড়ুনঃ  বরগুনায় কাউন্টার দখল নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের ব্যাপক সংঘর্ষ

এর আগে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশের একটি চিঠি তারা পেয়েছেন। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য এখনই করা যাবে না। আগে ওই চিঠির বৈধতা যাচাই করতে চায় নয়াদিল্লি। কোনো দেশের অন্তর্বর্তী সরকার অন্য রাষ্ট্রের নির্বাচিত সরকারের কাছে কোনো রাজনৈতিক নেতার প্রত্যর্পণ চাইলে, আইনি দিকগুলো খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সেই প্রক্রিয়ায় সময় লাগতে পারে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, ভারত থেকে শেখ হাসিনা উসকানিমূলক বিবৃতি দিচ্ছেন। এর ফলে বাংলাদেশের শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। শেখ হাসিনাকে চুপ থাকার জন্য ভারতকে লিখিতভাবে অনুরোধও করেছে ঢাকা। তলব করা হয় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার পবন বাধেকে। বর্তমান পরিস্থিতি কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের আবার অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ