Friday, March 14, 2025

শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে জয়ের ফেসবুক পোস্ট!

আরও পড়ুন

ছাত্রজনতার ২০২৪ বিপ্লবের পর দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সম্ভাবনা। গেল শুক্রবার যখন জাতীয় নাগরিক পার্টি আত্মপ্রকাশ ঘটালো, তখনই ওই দলকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাচূত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় একটি বিস্ময়কর ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন। তার সেই পোস্টটি নিয়ে দেশজুড়ে চলছে নানা আলোচনা এবং সমালোচনা।

জয় তার পোস্টে লিখেছেন, “সন্ত্রাসী ছাত্ররা তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক দল তৈরি করেছে। তারা অতীতে যে ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসকরা যা করেছে, তার সবই করছে। সহিংসতার মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা, বিরোধী দলকে হত্যা করা, তারপর একটি রাজনৈতিক দল তৈরি করা এবং ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনে কারচুপি করা।” তিনি উদাহরণ হিসেবে জেনারেল জিয়াকে বিএনপি তৈরি করতে, জেনারেল এরশাদকে জাতীয় পার্টি তৈরি করতে, এবং এখন এই সন্ত্রাসীদের এনসিপি তৈরি করার কথা উল্লেখ করেছেন। তার মতে, পরবর্তী পদক্ষেপ হবে একটি কারচুপি নির্বাচন করা।

আরও পড়ুনঃ  যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ: দমনে কঠোর অবস্থানে পুলিশ

জয় আরও লিখেছেন, “তারা নাহিদকে ইমাম উপাধি দিয়েছে। আমরা সবসময় বলে আসছি তারা মৌলবাদী, এটি আরো প্রমাণ করে।” তিনি বলেন, এই সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সহিংসতার ডাক দিয়েছে এবং শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। তারা বঙ্গবন্ধুর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে, যেখানে আমাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল এবং বঙ্গবন্ধু এবং তার পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল।যারা তাদের সাথে দ্বিমত পোষণ করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে তারা গণহত্যা চালিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  সেভেন সিস্টার্সে চীনা সেনাদের প্রবেশ নিয়ে যা জানা যাচ্ছে

এসময় জয় তার ফেসবুক পোস্টে আরও লিখেছেন, “জাতির পিতার বাড়ি ভেঙে দেয়ার পর তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। পুলিশ এবং রাজনীতিবিদদের হত্যা করার পর তারা প্রতিশোধ নেয়ার কথা বলে। সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ করার পর তারা বিভাজন প্রতিস্থাপনের কথা বলে। এটা একটা রসিকতা। যদি এসব কিছু গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে আওয়ামী লীগকে দোষারোপ কেন? মনে রাখবেন, অতীতের ফ্যাসিস্টদের মতো এই সন্ত্রাসীরাও কোন ম্যান্ডেট ছাড়াই ক্ষমতায় রয়েছে। এটি এখন রাজনৈতিক সরকার, যাকে বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত করেনি।”

আরও পড়ুনঃ  হামাসের সেই হামলা নিয়ে ‘পদত্যাগপত্রে’ যা লিখলেন ইসরাইলের গোয়েন্দাপ্রধান

এর পরিপ্রেক্ষিতে, জয় তার পোস্ট নিয়ে একজন মন্তব্য করেছেন, “লজ্জা শরম থাকলে ফেসবুকে ছাত্রদের নিয়ে সমালোচনা করতেন না। আসলে লজ্জা শরম থাকবে কোত্থেকে? পশ্চিমা সংস্কৃতি হচ্ছে বেহায়া সংস্কৃতি। লিভ টুগেদার করছেন খ্রিস্টান মেয়ের সাথে, লজ্জাশরম থাকবে কোত্থেকে?”

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ